একটি অমিমাংসিত রহস্য ( ১১ তম এবং শেষ পর্ব )

রাজীব বুঝতে পারলো তার হাতে সময় বেশী নেই। আজ রাতেই এ এলাকা ত্যাগ করতে হবে। সবাই রাইয়ানের মুখের মিষ্টি হাসিটুকু দেখে, শ্বাপদ সংকুল দৃষ্টিটুকু দেখে না।

চেয়ারম্যানের বাড়ী থেকে বের হয়ে রাজিব সোজা হাঁটা দিল বাজারের দিকে। আজ এবং আগামীকাল হাটবার
আজ বিকেলে একটা বাস আসবে, সপ্তাহে মাত্র দুই দিন সন্ধ্যায় এই বাসটি আসে। লক্করঝক্কর মার্কা গাড়ি। শহর থেকে অস্হায়ী কিছু ব্যবসায়ী এ দিন হাটে আসে। তাদের জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে। নানা রকম সৌখিন দ্রব্য, কাপড়, খেলনা, প্রসাধন সামগ্রী, ঔষধ ইত্যাদি নিয়ে বসে। এ দিন হাট খুব জমজমাট থাকে। প্রচুর মানুষজনে হাটটা জমজমাট হয়ে থাকে। গ্রামের অনেক লোকজন তাদের হাতে তৈরী বাঁশ, বেতের নানা জিনিস পত্রও নিয়ে আসে। এরা ঠিক ব্যবসায়ী নয়, ঘরের স্ত্রী, কন্যারা এসব তৈরী করে, যে দাম পাওয়া যায় সে দামেই জিনিস গুলো বিক্রি করে দেয়। এতে ঘরে দু ‘চার টাকা অতিরিক্ত আসে।।

আজ হাটে ব্যবসায়ীদের বেশ বড় একটা দল এসেছে শহর থেকে। সাথে ঘরসংসারের নানা প্রয়োজনীয় ও সৌখিন পণ্য। তবে বেশীরভাগই প্লাস্টিকের । আজকাল প্লাস্টিকের খুব প্রচলন হয়েছে। দামেও সস্তা, তাই সবাই কেনে। একেকজন ব্যবসায়ী এসে হাটের একেকটা নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে তাদের পসরা সাজিয়ে বসে গেলেন।
তবে এবার খানিকটা ব্যতিক্রম দেখা গেল কয়েকজন ব্যবসায়ীকে, এরা যেখানে বসলেন সেখানে চারদিকে খুঁটি দিয়ে মাথার ওপর চাদোয়ার ব্যবস্হা করলেন। যাতে তাদের প্লাস্টিকের জিনিসপত্রে রোদ না লাগে। বেশ একটা মেলা মেলা ভাব চারদিকে।।

আজ গ্রাম থেকেও প্রচুর লোকজন এসেছে হাটে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা ও শিশুর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আজ কিছু বড় ব্যবসায়ী আসায় ব্যাটারী দিয়ে আলোর ব্যবস্হাও করছে যাতে রাতে কোনো সমস্যা না হয়।

হোটেলের মালিক লোকটি আজ বেজায় খুশী। হাটে লোক সমাগম বেশী হলে তার বিক্রিবাট্টা বাড়ে। বিশেষ করে বাইরের লোকজন বেশি এলে সে বেশী খুশী হয়। এতে তার ভাতের খদ্দের বাড়ে। তাতে লাভের পরিমানটা বেশী হয়। হোটেল মালিক বুদ্ধিমান লোক, সে তার হোটেলের ছোট ছেলেটিকে পাঠিয়ে মোটামুটি একটা ধারনা নিয়ে নেয় কতজন লোক আজ খেতে পারে।এতে তার খাবারে যেমন টান পড়েনা তেমনি অতিরিক্ত তৈরি করে নষ্টও হয়না। আজও ছেলেটি গিয়েছে হিসেব আনতে, তবে অনেকক্ষন হয়ে গেছে এখনও ফেরেনি। মনে মনে একটা খারাপ গালি দিল ছেলেটির উদ্দেশ্যে।হারামজাদা তামশা দেখতে বসে গেছে।

ঠিক সে সময়ই ছেলেটি এলো হাঁপাতে হাঁপাতে, দাঁত বের করে হেসে বললো,

–উস্তাদ আইজ আপনের কাম ফিনিশ।

-আবার ইংরেজী কস্, ফিনিশ, মানে কি রে বেটা?

আবারও হাসছে ছেলেটা। মানে হইল উস্তাদ, আইজ আপনে কুটিপতি।

ঠিক কইরা ক হারামজাদা বেপারটা কি?

আইজ চল্লিশজনথন বেশি লোকের খাওন বানান লাগবো, কিন্তু কেমনে? আমরা তো মাত্র দুইজন।
কথাটা শুনে আসলেই চমকালো হোটেল মালিক মন্জু, তার এই হোটেল ব্যবসার জীবনে কখনও এতো মানুষের জন্য রান্নার আয়োজন করতে হয় নাই।তবে এতো লোক কেনো এটা নিয়ে সে খুব একটা সময় মাথা ঘামালো না। এখন তার মাথায় অনেক চিন্তা কি দিয়ে কি রান্না করলে কম সময়ে বেশি লাভ হবে সে এখন সেই হিসাব নিকাশ করতে বসলো।
ছেলেটিকে বললো, বাড়ী যা তোর চাচীরে বলবি চাইর কেজি মতন আলু আর হালি দশেক ডিম সিদ্ধ করে দিতে। নিজে দ্রুত হাতে চুলা জ্বালিয়ে ভাতের হাঁড়ি বসালো। আরেক চুলায় চায়ের কেটলি। আজ তার ব্যবসার দিন। আল্লাহ আজ অনেকদিন পর তার দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন।

রাজিব হাটে এসেই চায়ের জন্য ঢু মারলো হোটেলে। আরও দু জন লোক এসে বসলো সেই সময়। রাজিব নিজে থেকেই তাদেরকে বললো
-কি ভাই মাল কেমন এনেছেন হাটে?

প্রচুর, বেচাবিক্রি হলেই হলো।

হবে হবে। দেখছেন না আজ হাটে কত মানুষ।। ভালই বিক্রি হবে মনে হয়।
এমন সময় হাটের পাশেই বড় রাস্তায় বাসটি এসে হর্ণ দিতে লাগলো। খানিকটা ব্যস্ততা তৈরি হলো হাটের মাঝে। রাজিব আস্তে আস্তে হেটে সেই ভিড়ের মধ্যে হেঁটে মিশে গেলো। একরাশ ধূলো উড়িয়ে গাড়িটি চলে গেলো।

এর ঘন্টা খানেক পর, যখন সন্ধ্যা প্রায় মিলিয়ে গেছে, বেটারীচালিত আলো গুলো সব তখনও জ্বলে উঠেনি সেই আধো আলো আধো অন্ধকারে দু জন লোক এসে মন্জুর হোটেলে রাজীবের খোজ করলো। মন্জুর তখন চরম ব্যস্ততা, কথা বলবার ফুরসত নেই। কে এলো কে গেলো তা দেখার তার সময় কই।।

পিচ্চিটা বুদ্ধি করে সাথে নিয়ে এসেছে মন্জুর মেয়েকে, সাথে আরেকটা মেয়েকেও এনেছে সাহা্য্য করার জন্য।

মেয়ে দুটি এসে কাজে হাত লাগাতেই কাজের গতি বেড়ে গেলো। মনেমনে ছেলেটার বুদ্ধির তারিফ করলো। ভাত প্রায় হয়ে এসেছে। এরা পেয়াজ কেটে দিলে ডিমের তরকারীটা বসিয়ে দিবে। ডাল ভেজানো আছে বসালে হতে বেশী সময় নিবেনা, বাকী রইল আলু ভর্তা।এটা তার মেয়ে সামলে নেবে।।

হাতের কাজ যখন শেষ হলো, মন্জুরা সবাই তখন ভীষন ক্লান্ত। বসার শক্তি টুকুও নেই তবুও যা ভাত, ডাল, ভর্তা বেচে গিয়েছিল তা-ই চাটজনের প্লেটে বেড়ে দিল মন্জু। দুটো ডিম বেচে গিয়েছিল,সেই ডিম দুটোকে চারজনে ভাগ করে নিল। দোকানের ভেতর অংশে মেয়ে দুজনকে শুতে দিয়ে পিচ্চিকে নিয়ে সে বাইরের অংশে ঘুমালো। হোটেলের ঝাপটা টেনে দিল। কারন এখানে রাতে বেশ ঠান্ডা পড়ে।

সারারাত মরার মতো ঘুমালো মন্জুরা। শেষ রাতে মেঘের গুরুম গুরুম শব্দ শোনা গেলো। মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে।এলাকাটা পাহাড়ি হওয়ায় মেঘ বৃষ্টির কোন ঠিকঠিকানা নেই। পাশ ফিরে আবার ঘুমিয়ে পড়লো মন্জু, এতো ক্লান্ত যে কোনো কিছু ভাবার অবকাশ নেই, মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে আগামীকাল সকালে খিচুরী রান্না করতে হবে। মন্জু স্বপ্নেও খিচুরী রান্না করতে বসলো।

এক অন্যরকম সকাল দেখলো এ এলাকার মানুষ। পোড়া গন্ধ, বন্দুকের আওয়াজ, মানুষের আর্তনাদ সব মিলিয়ে এক ভিতিকর অবস্হা। যদিও পাহাড়ী এলাকা হওয়ার কারনে এই সব বুঝতে বুঝতে বেলা তখন অনেক গড়িয়েছে। চা বাগানের বাংলোটা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দাঁড়িয়ে আছে শুধু তার ভুতুড়ে কাঠামোটা।

চেয়ারম্যান বাড়ী তখন লোকে লোকারণ্য। বাড়ীটার এখানে ওখানে তখন বুলেটের ক্ষত। আহত লোকজনকে এম্বুল্যান্স এ তোলা হচ্ছে। পুলিশের গাড়ী, ইন্টেলিজেন্সের গাড়ী দাঁড়ানো পুরো বাড়ী ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
চেয়ারম্যানের মোট ত্রিশজন লোককে আটক করা হয়েছে ভারী অস্রসহ। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ছয়জন। তিনজন মারা গেছে। এদের লাশ ঢেকে রাখা হয়েছে।

এমন সময় নিরাপত্তাবাহিনী এক অফিসার চেয়ারম্যানের বাড়ী থেকে বের হয়ে রাজীবকে স্যালুট ঠুকে জানালেন পুরোবাড়ী তন্ন তন্ন করে খোজা হয়েছে রায়হান সাহেবকে কোথাও পাওয়া যায়নি।

আপনি নদীর দিকে লোক পাঠান ওখানে তাকে পাওয়া যাবে।
রাজীবের কথামতো রাইয়ানকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হলো। হাতকড়া লাগিয়ে বাড়ীর সামনে নিয়ে আসা হলো। ততক্ষনে রাজিবের বসও এসে পৌঁছে গেছেন।।
রাজীবের পিঠ চাপড়ে দিয়ে বললেন, ওয়েলডান মাইবয়। তুমি যে দেশের জন্য কি সুনাম বয়ে আনলে তা তুমি নিজেও জানোনা। ইউ এস এর ইন্টেলিজেন্স, এই লোকটিকে পাগলের
মতো খুঁজছে। রাজীব মনে মনে বললো আমি তো কোনো মাফিয়াকে খুঁজতে আসিনি আমি শুধু আমার রানার খুনীকে ধরতে চেয়েছিলাম।

চেয়ারম্যান বাড়ীর বাইরে গায়ের লোকজন জমতে জমতে বিশাল এক জন সমুদ্রে পরিনত হয়েছে। অতি উৎসাহী দুএকজন চেয়ারম্যানের মুক্তি চাই বলে স্লোগান দেয়া শুরু করেছে। বাইরে থেকে একজন পুলিশ কন্সটেবল এসে জানালো বাইরের লোকজন অসহিষ্ণু হতে শুরু করেছে। কথাটা শুনে হাসলো রাইয়ান। খুব বেশী সময় এই পুচকা পুলিশ অফিসারটি তাকে আটকে রাখতে পারবেনা। এই আমজনতার মধ্যে তার মানুষজন আছে যারা কাজ করা শুরু করেছে।খুব তাড়াতাড়ি এরা পুলিশ বাহিনীর ওপর ঝাপিয়ে পড়বে।

তীব্র সাইরেন বাজিয়ে দুটো গাড়ী এসে ঢুকলো বাড়ীর ভেতর। সাইরেনের তীব্র শব্দে জনতার ভীড় খানিকটা হালকা হলো। সাথে গুঞ্জনও থামলো।গাড়ী থেকে নেমে এলেন চারজন বিদেশী ভদ্রলোক। এ এলাকার লোকজন কখনও ফরেনার দেখেনি তাই আবারও গুঞ্জন উঠলো জনসমুদ্র। একই গাড়ী থেকে যখন পঞ্চম ব্যক্তি নেমে এলেন তখন পুরো এলাকায় পিনপতন নিরবতা নেমে এলো। এটা কিভাবে সম্ভব। গাড়ী থেকে নামলেন তাদের প্রানপ্রিয় চেয়ারম্যান সাহেব। তাহলে বারান্দায় বসা এটা কে?

সাদাসাহেব চারজন বারান্দায় বসে থাকা লোকটার হাতদুটো পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ পরালেন। তাদের বুলেট প্রুফ গাড়ীতে তুলে নিলেন। যাওয়ার সময় লোকটি তীব্র ঘৃণা নিয়ে তাকিয়ে থাকলো রাজিবের দিকে।

গাড়ী গুলো বেরিয়ে যেতেই এলাকার লোকজনকে আর আটকে রাখা গেলো না। হুরমুড় করে সবাই ঢুকে পড়লো বাড়ীর ভেতর। রাজিবকে পাশে নিয়ে তখনও দাঁড়িয়ে আছেন চেয়ারম্যান সাহেব। লোকাল থানার অফিসারও সাথে আছেন। তবে তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না আসলে কি ঘটছে।

সকলের সামনে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করলো রাজিব। আপনাদের সামনে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন তিনিই আপনাদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। আর যাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গলো তিনি তার জমজ ভাই রাইহান মাহমুদ।

লোকাল থানার অফিসার এবার মুখ খুললেন, আশ্চর্য আমরা সবসময় সাথে থাকলাম অথচ কিছুই বুঝলাম না, আপনি বুঝলেন কি করে?
হাসলো রাজিব, খটকাটা প্রথম দিন খেতে গিয়েছিল। মনে আছে, আপনাকে বলেছিলাম হাঁস দিয়ে বাঁশ খাবো। আমি জানতাম মাহবুবুর রহমান সাহেবের হাঁস খুব পছন্দ অথচ খেতে বসে চেয়ারম্যান সাহেব বললেন, তার হাসে এলার্জি তিনি খাবেন না।
দ্বিতীয়বার বইয়ের উপর নাম দেখে খটকা লাগলো। তার নাম মাহবুবুর আলম কিন্তু বইয়ে লিখা রাইয়ান মাহমুদ।
তার পরও আমি তাদের জমজ হওয়ার বিষয়টি ধরতে পারছিলাম না। গতদিন তিনি যখন আমাকে একটা বিশেষ জিনিস দেখাতে দোতালায় নিয়ে যান তখনই আমি তাদের পারিবারিক ছবিটি দেখি, ওটা দেখার পরই সম্পূর্ণ বিষয়টি আমার কাছে ক্লিয়ার হয়ে যায়।
ঢাকায় আমি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে আগেই বলে রেখেছিলাম রাইয়ান সাহেবের আমেরিকার ব্যাকগ্রাউডটা চেক করতে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে যায়।
আপনারা আপনাদের চেয়ারম্যান সাহেবকে ফিরে পেয়েছেন। আশা করি ভালো থাকবেন আপনারা। মাহবুবুর রহমান সাহেবকে কোনো প্রকার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ না দিয়েই তার বাড়ী থেকে বের হয়ে এলো রাজিব।

রাজিব এখানে এসেছিল একটি ড্রাগস চোরাচালানের ব্যাপারে তদন্ত করতে। তাই চেয়ারম্যানের বাড়ীতে সে এগুলোর আলামত খুঁজছিল। দরজায় সিকিউরিটি, পরের দিনের টব বদল এ সবই রাইয়ান মাহমুদের ড্রাগস চোরাচালানের ইংগিত করছিল।
এছাড়াও দ্বিতীয় বার চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি আমেরিকা চলে যান, ফিরে এসে বাসা সংস্কার করেন। তার মানে তার যাওয়া এবং ফেরত আসা এর মধ্যেই ঘাপলা আছে। খুন করার মূল কারন হচ্ছে এরা সবাই রাইয়ান মাহমুদের এই অবৈধ কাজকারবার সম্পর্কে জেনে ছিলেন এ কারনেই এ হত্যাকান্ড সমূহ। ইউ এস পুলিশ তাকে স্মাগলিঙের জন্য খুঁজছিল। ভাই যখন ইউ এস এতে ফিরে যান তখনই সে পাসপোর্ট চেইন্জ করে ভাইয়ের পাসপোর্টের ব্যবহার করে দেশে চলে আসে। আর ইউ এস পুলিশ মাহবুবুর রহমানকে স্মাগলিঙ করার অপরাধে ধরে নিয়ে যায়। ব্যাপারটা সামনে আসে যখন তার ফ্যামিলির ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হয়।
নদীর পারে তাকে পাওয়ার কারন হলো তিনি তার বাড়ির ভেতর দিয়ে সুরঙ্গ কেটে নিয়ে যান নদী পর্যন্ত। তার চোরাচালানের সুবিধার জন্য। এ ব্যাপারটা ময়নার আওয়াজ করার কারনে বুঝতে পারে রাজিব। কারন ময়না, মাটি কাটার শব্দের মতো করে এক রকম শব্দ করছিল। তারমানে সে একই শব্দ বহুদিন ধরে শুনছিল।
রাজিব যেদিন দোতালার রুমে যায় ঘরের মধ্যখানে একটা টেবিল ছিল। ওটার নিচে ফ্লোরে একটা গুপ্ত দরজা রাজিবের চোখ পড়ে। এবং রুমটি নিজের তালা খোলা ও লাগাতে দেখেই তার ধারনা হয় এ রুমটির ব্যাপারে সে নিজে ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করে না।

সব রহস্যেরই সমাধান হলো, কিন্তু সেদিন রাত্রে তার বাংলোয় রানা কিভাবে এলো এ রহস্য তার নিজের কাছেই অমিমাংসিত রয়ে গেলো।

জাহেদা মিমি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *