একদিন তুমি আমার কাছে এক খন্ড ভালোবাসার আকাশ চেয়েছিলে,
তুমি চেয়েছিলে অভিমানের সমস্ত জলকণা মুছে দিয়ে আমার আকাশ জুড়ে সাদা মেঘে মেঘে ভেসে বেড়াতে,
আমি জানিনা তোমাকে সে আকাশ দিতে পেরেছি কিনা !
তবে তোমার জন্য বুকের মানসপটে একটা ঘর তৈরি করেছি,
যে ঘরটা একান্তই তোমার। যে ঘরে তুমি খেলবে,হাসবে,অভিমানে কাঁদবে,আবার যত্ন করে ঘরটা নিজের মতো রাখবে।
কখনোই শত অভিমান হলেও এই হৃদয় ঘর ছেড়ে যাবে না তুমি।
তুমি আমার হৃদয়ে তোমার জন্য ভালোবাসার একটা হিমালয় দেখতে চেয়েছিলে,
তুমি দেখতে চেয়েছিলে, কতটুকু উষ্ণতায় একটা হিমালয় গলে গলে তোমার জন্য ভালোবাসার কয়েকশত নদী হতে পারে !
আমি জানি না আমার হৃদয়ে সে হিমালয় আদৌ আছে কিনা,
তবে বুঝতে পারি, তোমার নামে প্রতিদিন আমার বুকের মাঝে নদীর ঢেউ খেলে, পানির কলতানে শব্দে তোমার নাম জপে ।
আমি বুঝতে পারি, কত মহাকাল ধরে ভালোবাসার এই পথ ধরে আমি তোমার জন্য হেঁটে চলেছি বিরামহীন।
তুমি আমার কাছে চেয়েছিলে প্রচন্ড খরার দিনে এক পশলা বৃষ্টিতে যেনো ভিজিয়ে দেই মনের মাঠ ঘাট,
তুমি চেয়েছিলে প্রচন্ড তাপদাহে যখন ক্লান্ত হবে তুমি,আমি যেনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দিয়ে শীতল করে দেই তোমার মনের ঘর,
আমি জানি না সত্যি সত্যি আমি ভালোবাসার বৃষ্টিতে তোমাকে ভিজিয়ে দিতে পেরেছি কিনা !
তবে বুঝতে পারি, প্রতিদিন তোমার নামে অজস্র বৃষ্টির ধারা নেমে আসে,
আর এজন্য
তোমার মনের সমস্ত অভিমানের মেঘ সরিয়ে আমি ভালোবাসার বৃষ্টি নিয়ে আসতে পারি শত সহস্রবার।
-নিলয় আহমেদ