চলতি হাওয়া

: হ্যালো জয়িতা! কাল সকালে আসছো তো ! নীলাম্বরী হয়ে?

: কাল তো একুশ

: ভালোই হলো, একটা জাতীয় অজুহাত।

: কিন্তু কোথায় ?

: কেন? একই মোহনায়, একই যাতনায়।

: আমি পারব না

: কেন?

: সেলাইবিহীন অঙ্গে, অনভ্যস্ত ঢংয়ে আর টিকেটবিহীন সিনেমার রসাত্মক সংসর্গে সবাই কেমন মুখ টিপে চোখ টিপে হাসে!

: হাসুক! কাল অসংখ্য আনাড়ি নারী আনকোরা অনভ্যস্ত শরীরে অনেককেই করবে মুগ্ধ, আর প্রকৃতি অনাবশ্যক উন্মাদনায় জর্জরিত, সবশুদ্ধ।

তবুও জয়িতা, সবাই জানুক তোমার আমার হৃদ্যতা।

সম্ভবপরের জন্য প্রস্তুত থাকার নামই তো সভ্যতা।

হ্যালো শুনতে পাচ্ছ!

আসবে কিন্তু পিছুটান চিড়ে,

কাল আমরা হারাবো দু’জন শতলোকের ভিড়ে।

: সেদিনের মতো অসভ্যতা করলে আসবো না

: এই অসভ্যকে সভ্য করার ভার নিয়েইতো তুমি এসেছ, তুমি এসেছ আমার হয়ে।

: ফুপি আসছে, রাখি!

: ওষ্ঠ প্রলেপের মাত্রা কমিয়ে এসো। মার কাছে ধরা পড়ে যাই যে। সে বড়ো লজ্জা! পুরুষের লজ্জা বড় বেশী ভয়ানক।

: মেয়েদের বুঝি নয়! তোমার অসভ্যতার জন্যেই তো মিথ্যে দণ্ডে দণ্ডিত হতে হয় বারংবার।

: সে তো মধুর কলঙ্ক, চাঁদের মতোই।

কি, রাখবে?

তবে একটু জাতীয় সঙ্গীত!

: না, ফুপি শুনবে

: তবে আস্তে, চুপিসারে!

জামান একুশে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *