তোমার বজ্র কন্ঠে সেদিন যে কবিতা,
তোমার দৃপ্ত পায়ে যে ছন্দ সুর তোলে,
তোমার শিরা উপশিরায় যে নামের রচনা… সে তো আমার বাংলাদেশ।
তোমার অস্থিমজ্জায় খেলে যায় প্রতিদিন নতুন প্রভাতের আলো,
আলোর ঝলমলে দিনে কেটে যায় আঁধার।
তোমার ত্বকের খুব গভীরে খোদাই সে নাম… স্বাধীনতা। সাত সমুদ্রের ঢেউ নাচে তোমার চোখের তারায়,
শুষ্ক জলধিও ভরে জলে কানায় কানায়।
তোমার সবুজ বনানীতে থাকে কুড়ি আর কুশির গল্প… মুক্তিযুদ্ধ।
হে রূপকার,স্বপ্নদ্রষ্টা,
তুমি গড়েছো ইতিহাসের সেই অধ্যায়।
তোমার অঙ্গুলি ঈশারায় আসে স্বাধীনতা… রক্তের লাল সিঁড়ি বেয়ে।
হে জাতির পিতা,
হে তীরন্দাজ… তোমার অব্যর্থ নিশানায় খুঁজে পেয়েছি প্রিয় জন্মভুমি।এখন লাল সবুজে আঁকি পতাকার রঙ,
একটা মানচিত্রে গেঁথে রাখি প্রজন্মের আশা,ভালবাসা।
হে জনক, কতবার তুমি হয়েছো জনক স্বাধীন বাংলাদেশে!
কতবার চলিষ্ণু বোধে তোমাকেই করেছি ধারণ কৃতজ্ঞ চিত্তে!
কতবার হয়েছি ঋণী এই একখন্ড মানচিত্রে!
হে পরম হিতৈষী,
হে আপনার চেয়ে আপনজন… তোমাকে সালাম।
-ফারহানা নীলা
ছবি কৃতজ্ঞতা– সাখাওয়াত তমাল