মাননীয় শোক উন্নয়ন বোর্ড

যে কথা বলতে পারি না, প্রথমে তা
চোখে দুঃখ হয়ে জমা হয়
তারপর ঠিক মন খারাপের বর্ষা
দেখে ঝরে পড়ে
বলা যায় যে আমার চোখদুটো
দুঃখের সাইনবোর্ড
দুই পায়ের খুঁটিতে খাড়া করে রাখা
হয়েছে
অনেকটা কাকতাড়ুয়ার মতো
আমার শরীরটা ফসলের জমি আর
মনটা ধানি জমির ফসল
এই চোখে কত মানুষ এসে পড়ে,
ঠোকরায়, গাসায়, গপগপ করে
শরীরটা ঠুকরে ঠুকরে ছিদ্র করে
ফেলে তবে মন বের করতে পারে না
মনটা আমার কাছে গাছের মতো
মনে হয়
প্রথমে পানি দিতে হয়, যত্ন করতে হয়
তারপর গাছ ফসলি হয়ে ওঠে
এটা সবাই বুঝতে পারে না অথচ
সবাই ফসল খেতে চায়
চোখের পানি আমার কাছে
বিরামচিহ্ন মনে হয়
সামনে দেখলে জীবনকে কখনো
এক লাইফ আবার কখনো চার
আলিফ টেনে থামিয়ে দিই
জীবন একটা দুঃখের মাখরাজ, মাদ
গুন্না করে চলতে হয়
পৃথিবী একটা চোখ, জীবন
আরেকটা চোখ
আমার দুচোখই দুঃখে অন্ধকার হয়ে
গেছে
চোখ পড়তেই চোখে আগুন লেগে
যায়
চোখে আগুন লাগলে হৃদয় পুড়ে
যায়
তারে এই কথা কে বোঝায়
ইশকের গলি হয়ে গেছে আমার অলি
ইশক হয়ে গেছে জীবন আর জীবন
হয়ে গেছে বলি
তার নজরে পড়লে ইমান বেড়ে যায়
এই বিশ্বাসের প্রমাণ পেয়েছি
আমার জানাজায়

অরণ্য আপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *