প্রাক্তন প্রেমিকার বর্তমান শ্বশুরালয় থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে ছেলেটি ভাবছে, “বলেছিলি আমাকে ছাড়া বাঁচবি না। প্রতারক তুই। বেশ তো আছিস সুখে নিয়ে স্বামী-সংসার, ঘরকন্না! এই ছিলো তোর ভালোবাসা? স্বার্থপর রমণী!”
মেয়েটি তার বরের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে চাপা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে! একটু আগে তার প্রাক্তন প্রেমিক দেখে গেছে তার সুখী সংসার। আসলেই আজ সুখী সে।
সেই প্রেমিক যাকে ছাড়া একদিন বাঁচা দায় ছিলো। সেই প্রেমিক যার কাছে কেঁদে ভিক্ষে চেয়েছিলো একটা সংসার। প্রেমিক তো সেদিন অন্য হাজার ধ্যানে মগ্ন ছিলো। সেদিন অবহেলায় মরে গেছে প্রেমিকা!
আজ যে রমণী বেঁচে আছে সে স্ত্রী, সে গিন্নী, সে সংসারী, তার হাতে আছে রাজ্যের ক্ষমতা, স্বপ্নলোকের চাবি।
একদিন মুখ ফিরিয়ে নেয়া প্রেমিক আজ কাঠফাটা রৌদ্রে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলবে,”তুই মিথ্যুক ছিলি, স্বার্থপর তুই, তোকে অভিসম্পাত দিলাম তুই সুখে থাক!”
জগতবাসী জানবে প্রেমিকার অপর নাম স্বার্থপরতা, রমণীর অপর নাম ছলনা।
শুধু প্রেমিকা জানবে, “কত অবহেলা, কত বিনিদ্র রাতের দুশ্চিন্তায় চোখের নিচের কত কালি, কত চোখের জল তাকে বানিয়েছে স্বার্থপর!” প্রেমিকের অপর নাম যে অহংকার তা কেবল প্রেমিকাই জানবে।
নারীর প্রেমের, নারীর বিরহের সেসব গল্প কেউ জানবে না। জানবে শুধু বিধাতা, আর জানবে নারী!
-জান্নাতুন নুর দিশা