আমি অশ্লীল


আঙ্গুলের ডগায়
পাপের আধার
পাপাচার দেহ ভরি,
পাপের স্পর্শ দিয়ে কেবলই
পূণ্য আঁকড়ে ধরি।

গোপন পাপে
মনের বেহেস্ত
হয় যে শ্মশানঘাট,
পাপের জিহ্বা দিয়েই করি
পূণ্যের শ্লোক পাঠ।

যে আমি সকালে
বারবনিতারে
‘মাগি’ বলে দেই গালি,
সে আমি রাতে তাহার বদনে
কামের আগুন জ্বালি।

নারীর চলনে অভিযোগ
দিয়ে গরম করি বায়ু।
গোপন হেরেমে
আবাদ করি
কিশোরীর জরায়ু।

যায় যায় সব রসাতলে যায়
অনাচারে গেল ভরি,
পাপেতে সাজানো
নিয়মে কানুনে
পূণ্য বিচার করি।

যে জঠরে জন্মে কুলীনের ভ্রূণ
শূদ্রও আসে তাতে,
জন্মে বিধাতা
আলাদা করে নি
বিভেদ টানি জাতে।

যে মাটিতে যায়
মুমিনের লাশ
বেশ্যাও ঘুমায় তাতে।
ধরণির বুকে ঘৃণা করে যাই
পূণ্যের অজুহাতে।

যে আগুনে পোড়ে
চন্ডাল দেহ
ব্রাহ্মণও পুড়ে ছাই,
শৌর্যে বীর্য উঁচুতে নীচুতে
ভেদাভেদ করে যাই।

অশ্লীল বলে অন্যের গলে
যখনই পরাই ফাঁসি,
নর্দমার ক্লেদ
গোপনে মনেতে
হাসে বিজয়ের হাসি।

অশালীন আমার চোখের দৃষ্টি
অশ্লীল মনের ভাষা,
অশালীন হাতে
তবু লিখে যাই
শালীনের রায় খাসা।

-বাদশাহ খালেদ অপু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *