আষাঢ় এবারও এসেছে কদম ফুল নিয়ে
ওলটপালট এই মুহূর্তে
অন্যরকম একটা দমকা বাতাস
বইছে সেই ফাগুনের শুরু থেকেই।
সোনালু রাধাচূড়া কৃষ্ণচূড়া
বাহারি সব ফুলের গায়ে
দিয়েছে একটা কলঙ্ক মেখে
মহাকালের বৈরী আবহাওয়া।
যা ইচ্ছে তাই অবস্থা চারিদিকে
বিপদের সংকেত উড়ছে
কালের সাদা রোদে,
গতবার বর্ষায় তুমি বলেছিলে
যেখানেই থাকি, ঠিক বর্ষার
ঝাপটায় প্রথম বিকেলে কদম
ফুল নিয়ে হাজির হব।
বৃষ্টির জল কদম ফুল তুমি
আষাঢ়ের শুরুতে সব সব ঠিক আছে
এ কোন ভয়ে বুকের ভিতরটা
হঠাৎ হঠাৎই দিচ্ছে কাঁপুনি
কেন দিচ্ছি ঠেলে দূরে তোমাকে?
ভিজতে পারছি না দুজনে
আষাঢ়ের প্রথম স্বচ্ছ জলে
তোমার আমার আমাদের বাঁচার দাবিটা
ভেসে যাচ্ছে যেন জলের স্রোতে,
অসমাপ্ত প্রেমকাব্য লেখা হচ্ছে
প্রেমহীন বিদ্যকান্তি এ দেহে
আষাঢ়ের বারিধারায় সহস্র
বছরের প্রেমারাঞ্জী হারাচ্ছে পূর্ণতা,
খণ্ড খণ্ড আষাঢ়ী মেঘের বারির রজনীতে
বিরহের অসমাপ্ত মেঘাবৃত
বেদনাবিধুর পল্লব ভরা
প্রেমকাব্য যেন লেখা হচ্ছে
বছরের দিনলিপিতে।
আমি হৃদয়ের দখিনা দ্বার দিলাম খুলে,
নীল শাড়ি পরে সবুজ বনে
আষাঢ়ের জলে ভিজব দুজনে
ভালোবাসার জলখেলার আহ্লাদে।
জীবন মানেতো নয়
দুচোখে জলভরা অশ্রু,
নিশিকালো আদিম বিষণ্নতার
দাসখত সময়ের কাছে।
অপাঙ্ক্তেয় ক্রন্দসী হৃদ দিলাম বিসর্জন
আষাঢ়ের স্বচ্ছ জলের কাছে,
তুমি অপেক্ষা কোরো এবারেও
কদম হাতে কোন এক ঘন বৃষ্টিতে
দেখবে কেমন এ মিলনে মেঘের
কান্না হাসছে আমাদের ব্যথার বুকে।
কানিজ সাপি