কয়েকদিনের বিচ্ছিন্নতায় কষ্টের ছায়া পড়েছে জীবনের প্রহরে,
তোর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে লেপ্টে যেয়ে বুকের ধ্বনি শোনা হয়নি কতদিন
দুঃস্বপ্নের দিনগুলোর জন্য।
মাঝে মাঝেই আজকাল খুব অবাধ্য হতে ইচ্ছে হয় খেয়ালি আস্কারায়
পড়ন্ত বিকেলে তোর সান্নিধ্যে ওষ্ঠের আগুনে পুড়তে।
তোর কাটছে কেমন দিনগুলি?
অলৌকিক কোন গদ্যে ছুঁয়ে দেয়া ছাড়া,
সময়ের কোন চুম্বনের অমরতায়।
কি হবে? কতদিন চলবে এ সময়? কেন যেন আর সহ্য হচ্ছে না এসব!
সেই স্পর্শ তোর কাঁধে রেখে হাত ঘন্টার পর ঘন্টা কোন পথ ধরে বিকেলের হাঁটা,
খুব শূন্যতার শোক ছোঁয় আজকাল।
একটু সন্ধ্যাটা বেশি গড়িয়ে গেলেই খুঁজে দিতে ব্যস্ত থাকিস চেনা কোন রিকশা,
কিংবা তুই এসে পৌঁছে দিস পাড়ার গলির মুখে।
কেন অসময়ে এমন পৃথিবীর অসুখ হলোরে?
এখন আকাশ ভরা তারার মাঝেও চাঁদটা কেমন মলিন দেখায়।
জানিস ইদানিং প্রায় স্বপ্নে দেখি তোকে ?
নির্জন একটা রাস্তা ধরে হাঁটছি দু’জনে।
গতকাল দেখি পথভুলে গেলাম চলে স্বর্গের কাছাকাছি,
দেখি চিরচেনা একজোড়া দোয়েল প্রণয়ের জল ছোঁয় প্রেম প্রেম খেলায়
ওষ্ঠ থেকে ওম নিচ্ছে বেদুইন তৃষ্ণায়।
আমার চোখে চোখ পড়তেই উড়ে গেল স্বর্গের ভিতর।
তুইও কি এমন দেখিস? খুব খুজিস স্বপ্নে আমায়
একটু যদি চোখ লেগে যায় বিষণ্ণ কোন সন্ধ্যায়।
ঘরে আর নয়রে, চল অবাধ্য হই
উত্তপ্ত কোন চুম্বনের স্বাদ নেই গলির পথটার আড়ালে
আদিম উষ্ণতা নেই শরীরের রোদ্দুরে।