জীবন চক্র (অণুগল্প)

আমার স্বামী মারা যাবার পর দ্বিতীয় বার জন্ম হল আমার!সাত বছরের একমাত্র মেয়ে অদিতি আর আমি। স্বামীর রেখে যাওয়া নিরাপদ আশ্রয় আর জীবন যাপনের নিশ্চিত সঞ্চয়, যথেষ্ট সচ্ছলতায় কেটেছে জীবন। জীবনের কোন চাহিদা অপূর্ণ রাখিনি আমি। উপভোগ করেছি প্রতিটা মূহুর্ত। কখনো মন জেগেছে, কখনো বা শরীর। নিরাশ করিনি জাগ্রত কোন অনুভূতি কে! আমার বন্ধু নিলয়, সাজিদ, রাতুল বলত — তোর সান্নিধ্য বড় কাংখিত; নেশাভরা।” ঠোঁটে অহংকারী হাসি নিয়ে আমার প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে ভেবেছি জীবন অনেক কিছু দিয়েছে আমায়।

আজ বারো বছর পর—– অদিতির লাগামহীন যাপিত জীবন বড় অশান্তি দেয় আমায়। আমি তাকে গড়ে তুলতে কোন ত্রুটি রাখিনি। সমস্ত প্রয়োজন গুলো পূরণ করেছি যথাসময়ে। স্নেহ, ভালবাসায় পূর্ণ রেখেছি তার জীবন। তবুও মা হিসেবে যখন তার অবাধ চলায় বাধ সাধি, সে অদ্ভুত চোখে তাকায় আমার দিকে, ঠোঁটের কোনে থাকে দূর্বোধ্য হাসি!! যে হাসি আমার ভেতর কে কাঁপায়। আমার সমস্ত আত্মবিশ্বাস চূর্ণ বিচূর্ণ হয় প্রতিনিয়ত।।

 

-নাঈমা পারভীন অনামিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *