তোমাকে দেবো আমার স্বপ্নময় পৃথিবী

তোমাকে একটা চাঁদোয়া আকাশ দেবো

যেখানে জোছনা ঝরে অবিরাম,
গৃহত্যাগী সন্ন্যাসিনী হয়ে সে মায়াবী আলোয়
আমি হেটে যাবো অনন্তকাল।
রূপালি সৈকতের বালুচরে,
ছবি আঁকবো জীবনের বিচিত্র কারুকাজের,
কখনো আবার গাঢ় রহস্যে ঘেরা জীবনের কৃষ্ণ গহ্বরের!
ক্যানভাস আমার,
চাঁদনী রাতের ফিনিক ফোঁটা নীলাম্বরী আকাশ!

তোমাকে একটা উত্তাল নীল সমুদ্র দেবো
যার ঢেউতোলা সফেদ জলরাশি,
শুধু বালুচরে আছরে পড়ে,
উত্তাল ঢেউ ঝিনুক খুঁজে লুকিয়ে ফেলে,
সুপ্ত দুঃখের সাতকাহন।
ইচ্ছে হলে সাঁতার কেটো,
না হয় ডানা মেলো নীলাম্বরী আকাশে
যাযাবর গাঙচিলদের সাথে,
স্বপ্নময় রোদেলা দিন তার সোনালি ডানায়।

তোমাকে একটা নিরালা দ্বীপ দেবো,
চারিদিকে সমুদ্র ঘেরা,ঝাউবনে দোলা দেয় অচেনাজীবন!
শূন্যতার বাতাস বয় যেখানে নীরবধি
শুধু নীরাবতার গুন গুন সুর বইবে ইথারে,
সাথী হবে তোমার,সমুদ্রে উড়ে চলা নিঃসঙ্গ গাঙচিল।

যাবে হারাতে নিজেকে! মগ্ন চৈতন্যের বিমূর্ত সুরসূধায়!
নাকি খুঁজে নিবে তোমার একাকীত্বের ঐশ্বরিক সৌন্দর্যকে!!

আমাকে পাবার জন্য যদি হও বোহেমিয়ান,
আমি আছি জোছনার প্রবল জলপ্রপাতে,
সমুদ্রের তীর ঘেষে পদচিহ্ন রেখে,
আমি হেটে গেছি ঐ নীলসাগরে!
কখনো পাবে আমায় একাকী গাঙচিলের দূরন্ত ছুটে চলায়,
ওর গভীর কালো মায়াবী চোখের তারায়!
কিংবা রোদ্দুর জ্বলা চিক চিক বালুকাবেলায়!!

-হাছিনা মমতাজ ডলি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *