নপুংসক ( ভূমিকা পর্ব )

মা মারা গেছেন তিনদিন আগে। আজ বৃহস্পতিবার, সেদিন ছিল সোমবার। তিনি কিভাবে, কি কারণে মারা গেলেন আমি তার কিছুই জানিনা। মারা যাওয়ার সময় আমি তার পাশে ছিলাম না। শুধু মারা যাওয়ার সময় কেন আমি তো কখনই তার পাশে ছিলাম না। এখন আমার বয়স তেইশ। যখন আমার বয়স চার বছর তখন তিনি আমাকে বাবার কাছে পাঠিয়ে দেন।
এই যে, এখন আমি তাকে মা ভেবে কত কথা ভাবছি, তিনি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি তাকে মা ভেবে তার চেহারাটা মনের মাঝে আনতে পারতাম না। কিসের যে এত দ্বিধা ছিল আমার জানিনা। অথচ আমি কিন্তুু তাকে ঘৃণা করতাম এরকম নয়। সে দোষী তো ছিলনা, আমি তাকে ঘৃণা কেন করব? আবার ভাবি, আমি কি তাকে ভালবাসতাম? নাহ্ তাও নয়। তবে কি ছিল সে আমার কাছে?
নানীজান আজ আমার বাসায় এসেছিলেন। বাবার সামনেই তিনি একটা খাম আর একটা ডায়েরি আমার হাতে দিয়ে গেলেন। আমি হাতে নেবার আগে বাবার চোখের দিকে একবার চাইলাম। হয়তো মনে মনে তার চোখের ভাষায় বুঝতে চাইছিলাম, নেবো কিনা এসব?
বাবা কিছুই বললেন না। তার চোখের ভাষাও নিরুত্তর ছিল। আমি যেমন জানি বাবাও তো জানেন, এ ডায়েরিটা মা’য়ের।
বাবা- মা মারা গেলে তার বিষয় সম্পত্তি সন্তানরা পায়। আমি আমার মায়ের একমাত্র সন্তান। কিন্তুু আমাকে দেবার মতো তার কোন বিষয় সম্পত্তি ছিলনা। তার বাবা বা আমার বাবা কারও কাছ থেকেই তিনি কিছু পাননি।

চলবে…..

-বেলা প্রধান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *